Tuesday, April 3, 2018

কিভাবে অনলাইনে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট এর আবেদন করবেন?

অনলাইনে আজকাল অনেক কাজ-ই করা যায়, বিদ্যুৎ বিল মোবাইল বিল সহ সব কিছুই অনলাইন ভিত্তিক হয়ে যাচ্ছে। এটা অনেকটা ভাল দিক। সময় এবং অবহেলা থেকে বাঁচার উপায় এটি। পাসপোর্ট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য আপানাকে অবশ্যই পাসপোর্ট অফিসে যেতে হবে। কারন ফিংগার প্রিন্ট এবং ছবি তোলা সহ বেশ কিছু কাজ অফিসে গিয়েই সম্পন্ন করতে হয়। মুলত অনলাইনে আবেদন করার সাথে সাথে আপনার একটি অ্যাকাউন্ট তৈরী হয়ে যায়। সেই ফর্ম নিয়ে গিয়ে জমা দেয়া হলে সেখানে কেবল ছবি তোলা আর ফিঙ্গার প্রিন্ট নেয়া হয়। বর্তমানে অনলাইনে পেমেন্টও দেয়া যায়। আর তাই পেমেন্ট দিয়ে আপনি খুব সহজেই পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে দ্রুত কাজ সমাধান করতে পারেন।

কিভাবে অনলাইনে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট এর আবেদন করবেন?

মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট বর্তমানে খুব সহজে এবং দ্রুত পাওয়া যায়। এজন্য বাংলাদেশ পাসপোর্ট পোর্টালে প্রবেশ করতে হবে।  বাংলাদেশ পাসপোর্ট পোর্টালের http://passport.gov.bd লিঙ্কটিতে ক্লিক করে প্রবেশ করুন। তারপর যে পাতাটি আসবে তার পুরোটি পড়ে নিচের চেক বক্সে ক্লিক করে অগ্রসর হতে হয়।  তবে বিস্তারিত জানার জন্য পিডিএফ লিংক শেয়ার করছি।  ক্লিক করুন।Passport_MRPOnline_Instruction এখানে বিস্তারিত পাবেন।
সঠিক ভাবে আবেদন করার ক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমেই নির্দেশনা এগ্রিমেন্ট এক্সেপ্ট করতে হবে। তারপর আপনি পাবেন বিস্তারিত ফর্ম পূরন করার অপশন। সবকিছু পুরন করে আপনি পেয়ে যাবেন সেইভ এন্ড নেক্সট বাটন।

অনলাইনে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট এর জন্য পেমেন্ট পদ্ধতি

প্রথম পেইজের পরের পেইজে পাবেন জরুরী যোগাযোগ এর জন্য ব্যক্তি নির্বাচন করার অপশন। এখানে আপনি পেমেন্ট প্রদানের মাধ্যমে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারেন। অনলাইন পেমেন্ট প্রদানের জন্য আপনার ক্রেডিট কার্ড (ভিসা/মাষ্টার কার্ড), অনলাইন ব্যাংকিং(এবি ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া), মোবাইল (ডিবিবিএল) ব্যাংকিং এর সাহায্য নিতে হবে। আপনি চাইলে ম্যানুয়ালি ব্যাংকে গিয়ে পেমেন্ট দিয়ে আসতে পারেন। পেমেন্ট দেয়ার পর ট্রানজাংকশান নাম্বার দিয়ে পেমেন্ট অপশন পূরন করতে হবে। এর পর পরবর্তী পদক্ষেপে যা যা ইনফর্মেশন দরকার দিয়ে দিতে হবে।

অনলাইলে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট এর আবেদনের ক্ষেত্রে কিছু জরুরী তথ্য-

১। নাম সঠিকভাবে লিখুন। নামের প্রথম অংশ দ্বিতীয় অংশ। এসব ক্ষেত্রে ভাল করে নজর দিন। অনেকেই নামের প্রথম অংশের জায়গায় দ্বিতীয় অংশ লিখে ফেলেন। যদি এত কিছুর পরেও ভুল হয়েই যায় তবু সবার শেষে চেক করুন। ফিংগার প্রিন্ট এবং ছবি তোলার সময় আপনি নিজে পূনরায় চেক করুন। ভুল হলে বলুন।
২। নামের সংক্ষেপিত রুপঃ মোঃ এর সংক্ষেপিত রুপ কে মোহাম্মাদ লেখাই ভাল। এসব পরবর্তিতে সমস্যা তৈরী করে।
৩। পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে কখনোই কারো কাছে কোন টাকা পয়সা দিবেন না। কেউ কোন সাহায্য করতে এগিয়ে এলে ফিরিয়ে দিন। কারন সাহায্য করে দিয়েই টাকা চাইবে।
৪। লাইনে দাঁড়ান, কারন সবাই সমান সময়ে আবেদন জমা দিতে চায়। আপনি লাইনে দাঁড়ানো কারো সাথে বেশি কথা বলবেন না। শুধু শুধু সমস্যা তৈরী হতে পারে।
৬। পেমেন্ট স্লিপ/ব্যাংক স্লিপটি ফরমের সবার উপরে মাঝ বরাবর সামান্য আঠা দিয়ে লাগাবেন। তা না হলে আপনাকে লাইন থেকে বের হয়ে আবার প্রথম থেকে সিরিয়ালে থাকতে হবে।
৭। কাউন্টারের কর্তারাও ভুল তথ্য দিতে পারেন। যেমন কোন দলিল দস্তাবেজ বা ডকুমেন্ট লাগলে অন্যটাও চেয়ে বসতে পারে। এক্ষেত্রে তারা খুব ঝামেলা করে। তাই সঠিক তথ্য দেখে নিন। ওয়েবসাইটে বিস্তারিত আছে। যদি এর কোন অংশ না বোঝেন কাউকে জিজ্ঞেস করে নিয়ে যাবেন। তবু হয়রানি এড়াতে সব কিছু নিয়ে গিয়ে উপস্থিত হউন।
৮। পাসপোর্টের পূরনকৃত কোন ফর্ম কারো হাতে কিংবা রাস্তায় ফেলে দিবেন না। দরকার না হলে অতিরিক্ত ফর্ম ছিঁড়ে ফেলে দিন।

আশাকরি আপনাদের নতুন অনলাইনে পাসপোর্টের আবেন কিংবা পাসপোর্ট নবায়নে এই তথ্যগুলি কিছুটা হলেও কাজে লাগবে। নতুন কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।

অফলাইনে যদি করতে চান তাহলে এখান থেকে পাসপোর্ট ফরমটি ডাউনলোড করে প্রিন্ট করুন তারপর ফরমটি পূরন করে পাসপোর্ট অফিসে চলে যান।

No comments:

Post a Comment

Free Search Engine Submission